শায়েক আহমদ,স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজার পৌরসভার উদ্যাগে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিকে নাগরিক সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩ মে) সন্ধায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন,মৌলভীবাজার পৌরসভা মেয়র মো: ফজলুর রহমান ও জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন মাসুদ এর সঞ্চালনায়।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সহধর্মিনি হাফিসা বানু, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল এম এ আমিন উদ্দিন, জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম,জেলা ও দায়রা জজ মৌলভীবাজার আল মাহমুদ ফায়জুল কবীর, জেলা পুলিশ সুপার মো: মনজুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিছবাহুর রহমান ,মৌলভীবাজার জেলা চেম্বারের সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন প্রমূখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, একটি রাষ্ট্রের বিচার বিভাগ যতটা সুন্দর তার দেশ ততটাও উন্নত।বিচার বিভাগ সবসবময় নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ছিলেন না বলে প্রধান বিচারপতি আরো বলেন তার সকল লেখায় শান্তির কথা বলা এসেছে অন্যায়ের প্রতিবাদে করার কথা বলা হয়েছে ন্যায়ের কথা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন,মৌলভীবাজারের মানুষ অজকে যে সম্মান আমাকে দেখিয়েছে তা কখনো ভুলার মত নয়। পৌরসভার মেয়র পৌরসভার কর্মকর্তাসহ সকলের প্রতি আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,আইনজীবী সমিতির সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমদ চৌধুরী,জেলার পিপি রাধাপদ দেব সজল,অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান মুজিব, অ্যাডভোকেট শান্তিপদ ঘোষ, কুলাউড়া পৌরসভা মেয়র মোঃ সিপার উদ্দিন, কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জুয়েল আহমদ,মৌলভীবাজার চক্ষু হাসপাতালের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মসাঈদ আহমদ চুন্নু,প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পান্না দত্ত প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।

পৌরসভা পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর মো: নাহিদ হোসেন।

অনুষ্টানে বিভিন্ন দপ্তরের দপ্তর প্রধান, সিনিয়র সিটিজেন, সুশীল সমাজ, শিক্ষার্থী,প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীসহ সর্বস্থরের মানুষজন উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভা শেষে প্রধান বিচারপতি সহ অন্যান্য অতিথিদের হাতে পৌরসভার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা স্মারক ও উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। পরিশেষে মৌলভীবাজারের স্থানীয় সংস্কৃতির ধামাইল, মুনিপূরী নৃত্য ,মৃদঙ্গ নৃত্য ও হাসান রাজা এবং রাধারমনের গান পরিবেশন করা হয়।